পূণ্যবতী রমণীর গুণাবলী ||
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“পূণ্যবতী রমণীগণ আনুগত্য করে এবং আল্লাহর সংরক্ষিত প্রচ্ছন্ন বিষয়ের সংরক্ষন করে।” (সূরানিসা- ৩৪)
হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) অত্র আয়াতের তাফসীরে
বলেন, ﺻﺎﻟﺤﺎﺕ বলতে সৎ ও পূণ্যশীল নারীদেরকে
বুঝানো হয়েছে। ইবনু আব্বাস প্রমুখ বলেন,
ﻗﺎﻧﺘﺎﺕ অর্থ হচ্ছে, স্বামীর আনুগত্যকারীনী।
ﺣﺎﻓﻈﺎﺕ ﻟﻠﻐﻴﺐ অর্থ সম্পর্কে সুদ্দী প্রমুখ
বলেন, স্বামীর অনুপস্থিতে স্ত্রী নিজের ইজ্জতের সংরক্ষণ করবে এবং স্বামীর সম্পদ হেফাযত
করবে।
“পূণ্যবতী রমণীগণ আনুগত্য করে এবং আল্লাহর সংরক্ষিত প্রচ্ছন্ন বিষয়ের সংরক্ষন করে।” (সূরানিসা- ৩৪)
হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) অত্র আয়াতের তাফসীরে
বলেন, ﺻﺎﻟﺤﺎﺕ বলতে সৎ ও পূণ্যশীল নারীদেরকে
বুঝানো হয়েছে। ইবনু আব্বাস প্রমুখ বলেন,
ﻗﺎﻧﺘﺎﺕ অর্থ হচ্ছে, স্বামীর আনুগত্যকারীনী।
ﺣﺎﻓﻈﺎﺕ ﻟﻠﻐﻴﺐ অর্থ সম্পর্কে সুদ্দী প্রমুখ
বলেন, স্বামীর অনুপস্থিতে স্ত্রী নিজের ইজ্জতের সংরক্ষণ করবে এবং স্বামীর সম্পদ হেফাযত
করবে।
আবদুর রহমান বিন আউফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
“মুসলিম রমণী যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে, রামাযানের ছিয়াম পালন করে, নিজের
লজ্জাস্থানের হেফাযত করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, তবে তাকে বলা হবে, জান্নাতের যে কোন
দরজা দিয়ে ইচ্ছে তুমি ভিতরে প্রবেশ কর।”
আনাস বিন মলেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ছাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন,
“কোন ধরণের রমণী জান্নাতী আমি কি তোমাদেরকে বলে দিব না? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ হে
আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, তোমাদের জান্নাতী রমণীগণ হচ্ছে, স্বামীর প্রতি প্রেম
নিবেদনকারীনী এবং অধিক সন্তান প্রসবকারীনী।
তার আনুগত্যের প্রকাশ হচ্ছে, সে ivMw¤^Zv
হলে বা তার সাথে খারাপ আচরণ করা হলে বা স্বামী
তার প্রতি ivMw¤^Z হলে, স্বামীর কাছে গিয়ে
বলে, এই আমার হাত আপনার হাতে সপে দিলাম,
আপনি সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আমি চোখের পলক ফেলব না। অর্থাৎ আমি কোন আরাম নিব না
কোন আনন্দ বিনোদন করব না যতক্ষণ আপনি আমার প্রতি খুশি না হন।”
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে
প্রশ্ন করা হল হে আল্লাহর রাসূল! কোন শ্রেণীর নারী সর্বোত্তম? তিনি বলেন, “তার পরিচয় হচ্ছে
তুমি তার দিকে চাইলে সে তোমাকে আনন্দিত করবে,
কোন নির্দেশ দিলে তা বাস্তবায়ন করবে। তার নিজের ব্যাপারে এবং স্বামীর সম্পদের ব্যাপারে
স্বামী পসন্দ করেন না এমন কাজ করে তারবিরোধীতা করবে না।”
অন্য বর্ণনায় এসেছে, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওমর (রাঃ)কে
লক্ষ্য করে বললেন,
“আমি কি তোমাকে মানুষের আকর্ষণীয় শ্রেষ্ঠ গুপ্তধন সম্পর্কে বলে দিব না? তা হচ্ছে, নেক
রমণী। স্বামী তার দিকে তাকালে সে তাকে আনন্দিত
করে দেয়, কোন আদেশ করলে তা পালন করে এবং বাড়িতে না থাকলে তার ইজ্জত-আবরু রক্ষা
করে।”
ওহে মুসলিম বোন নিজের প্রতি লক্ষ্য করুন, উক্ত গুণাবলী কি আপনার চরিত্রে সমাবেশ ঘটাতে
পেরেছেন। আপনি কোথায়? আপনার কি উচিত নয় পালনকর্তার সন্তুষ্টির পথ অনুসন্ধান করা?
দু’নিয়া-আখেরাতে সুখের জীবন গঠন করার জন্য স্বামী-সন্তানের খেদমত করা ও আনন্দময় সংসার
গড়তে সচেষ্ট হওয়া।
Post a Comment