Bismillahir Rahmanir Rahim :
লোকেরা কালো রং দিয়ে চুল- দাড়ি রঙ্গাবেঃ
চুল বা দাড়ীতে কালো রং লাগানো একটি হারাম কাজ ও কবীরা গুনাহ। কিন্তু সাদা চুল-দাড়ি মেহদী বা অন্য রং দিয়ে পরিবর্তন করা নবী (ছাঃ) এর সুন্নাত। তিনি সাদা চুলকে কালো রং বাদ দিয়ে অন্য রং দিয়ে পরিবর্তন করতে আদেশ দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (ছাঃ) বলেনঃ
إِنَّ الْيَهُو دَ وَالنَّصَارَى لَا يَصْبُغُو نَ نَفَخَلِفُو هُمْ
“ ইয়াহুদী ও নাসারারা চুল ও দাড়িতে খেযাব লাগায় না। সুতরাং তোমরা খেযাব লাগিয়ে তাদের বিপরীত কর”। ( বুখারী, অধ্যায়ঃ আহাদীছুল আম্বীয়া।)
কিন্তু কিয়ামতের পূর্বে লোকেরা এ আদেশ অমান্য করে কালো রং দিয়ে খেজাব (কলপ) লাগাবে। নবী (ছাঃ) বলেনঃ
يَكُونُ قَوْمٌ يَخْضِبُو نَفِي آخِرِ الزَّمَانِ بِالسَّوَادِ كَحَوَاصِلِ الْحَمَامِ لَا يَرِيحُونَ رَاءِحَةَالْجَنَّةِ
“ আখেরী যামানায় একদল লোকের আগমণ হবে যারা সাদা চুল-দাড়ি কালো রং দিয়ে পরিবর্তন করবে। তারা জন্নাতের গন্ধও পাবেনা”। (আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তারাজ্জুল, আলবানী (রঃ) হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন)
হাদীছের ভাষ্য বাস্তবে পরিণত হয়েছে। পুরুষদের মাঝে দাড়ি ও মাথার চুল কালো রং দিয়ে পরিবর্তন করার প্রবণতা ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেনঃ
يَكُونُقَومٌ يَخضِبُونَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ بِالسَّوَادِ؛ كَحَوَاصِلِ الحَاماَمِلاَ يَرِيحُونَ رَاءِحَةَالخَنَّةِ
“অর্থাৎ শেষ যুগে এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটবে যারা (চুল বা দাড়িতে) কালো রং লাগাবে। যা দেখেতে কবুতরের পেটের ন্যায়। তারা জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না”। ( আবু দাউদ ৪২১২; নাসায়ী ৫০৭৭)
কারোর মাথার চুল বা দাড়র সাদা হয়ে গেলে তাতে কালো ছাড়া যে কোন কালার লাগানো সুন্নাত।
জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেনঃ
أُتِيَ بِأَبِي قُحَا فَةَ يَومَفَتح مَكَّة،وَرَأسُهُ وَلِحيَتُهُ كَالثَّغَا مَةِ بَيَا ضًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلى اللهُ عَلَيهِ وَسَللَّم غَيِّرُوا هَذَا بِشَيءٍ، وَاجتَنِبُوا السَّوَادَ.
“ মক্কা বিজয়ের দিন (আবূ বকর (রাঃ) এর পিতা ) আবূ ক্বহাফাহকে (রাসূল (ছাঃ) এর সামনে ) উপস্থিত করা হলো । তখন তার মাথায় চুল ও দাঁড়ি সাদা ফল ও ফুল বিশিষ্ট গাছের ন্যায় দেখাচ্ছিলো । তা দেখে রাসূল (ছাঃ) সাহাবাদেরকে বললেনঃ তোমরা কোন কিছু দিয়ে এর কালার পরিবর্তন করে দাও। তবে কালো কালার কিন্তু লাগাবে না”। (আবু দাউদ ৪২০৪; নাসায়ী ৫০৭৮)
তবে রাসূল (ছাঃ) সাধারণত মেহেদি, জাফরান ও অর্স (লাল গোলাপের রস) দিয়ে কালার করতেন।
আবূ রিমসাহ (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেনঃ আমি ও আমার পিতা রাসূল (ছাঃ) এর কাছে আসলে তিনি আমার পিতাকে বলেনঃ এ ছেলেটি কে? তখন আমার পিতা বললেনঃ সে আমারই ছেলে। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেনঃ তুমি তার সাথে অপরাধমূলক আচরণ করো না । হযরত আবূ নিমসাহ বলেনঃ তখন তাঁর দাড়ি মেহেদি লাগানো ছিলো।
আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ
كَانَ النَّبِيُّ رَسُولُ اللَّهِ صَلى اللهُ عَلَيهِ وَسَللَّم يَلبَسُ النِّعَالَ السِّبتِيَّة،وَيُصَفِّرُ لِحيَتَهُ بِالوَرسِ وَالزَّعفَرَانِ
“নবী (ছাঃ) চামড়ার জুতো পরিধান করতেন এবং অর্স তথা লাল গোলাপের রস ও জাফরান দিয়ে দাঁড়িটুকু হলুদ করে নিতেন”। (আবূ দাউদ ৪২১০)
রাসূল (ছাঃ ) আরো বলেনঃ
إِنَّ أَحسَنَ مَا غُيِّرَ بِهِ هَذَا الشَّيبُ:الحِنَّاءُوَالكَتَمُ
“ নিশ্চয় সর্বশ্রেষ্ঠ বস্তু যা দিয়ে বার্ধক্যের সাধা বর্ণকে পরিবর্তন করা যায় তা হচ্ছে মেহেদি ও কাতাম; যার ফল মরিচের ন্যায়”। (আবূ দাউদ ৪২০৫; নাসায়ী ৫০৮০)
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. Peace Way - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger