সর্বশেষ আমলের উপর মানুষের কর্ম ফল নির্ভরশীল ৷
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
একজন মানুষ দুনিয়াতে আসার পর আল্লাহ তালা তাকে যত দিন হায়াত দিয়ে থাকেন ততদিন সে বেঁচে থাকে ৷ দুনিয়াতে মানুষ ভালো-মন্দ অনেক কাজ করে থাকে ৷ কিন্তু পরকালে তার হিসাব হবে ঐ আমলের উপর ভিত্তি করে, যার উপর তার মৃত্যু হবে ৷
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
একজন মানুষ দুনিয়াতে আসার পর আল্লাহ তালা তাকে যত দিন হায়াত দিয়ে থাকেন ততদিন সে বেঁচে থাকে ৷ দুনিয়াতে মানুষ ভালো-মন্দ অনেক কাজ করে থাকে ৷ কিন্তু পরকালে তার হিসাব হবে ঐ আমলের উপর ভিত্তি করে, যার উপর তার মৃত্যু হবে ৷
এজন্য প্রত্যেক মুসলিমের উচিত হবে জীবনের শেষ আমল যেন ভালো হয় সেদিকে খেয়াল রাখা ৷ তাছাড়া মানুষের কোন দিনটি শেষ দিন হবে তা কারো জানা নেই ৷ হতে পারে আজকের দিনটি তার শেষ দিন অথবা কালকের দিনটি তার শেষ দিন ৷
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
হে মুমিনগন, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো ৷ প্রত্যেক মানুষেরই ভেবে দেখা উচিত যে, সে আগামীকালের জন্য কি পাঠিয়েছে ৷ আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো,নিশ্চয় তোমরা যা করো আল্লাহ সে সম্পর্কে সর্বাধিক অবহিত ৷ [ সূরা হাশর,আয়াত-১৮]
হে মুমিনগন, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো ৷ প্রত্যেক মানুষেরই ভেবে দেখা উচিত যে, সে আগামীকালের জন্য কি পাঠিয়েছে ৷ আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো,নিশ্চয় তোমরা যা করো আল্লাহ সে সম্পর্কে সর্বাধিক অবহিত ৷ [ সূরা হাশর,আয়াত-১৮]
এ আয়াতের ইঙ্গিতের আলোকে এটাই বুঝা যায় যে, মানুষের প্রত্যেকটি দিনকে জীবনের শেষ দিন বিবেচনা করে তার আমলকে সুন্দর করা উচিত ৷ এভাবে চলতে থাকলে যখনই তার মৃত্যু হবে তখন ভালো অবস্থার উপর তার মৃত্যু হবে ৷ আর কারো মৃত্যু যখন ভালো অবস্থার উপর হবে তখন তার পরবর্তী ধাপগুলো ভালো অবস্থার উপর হবে ৷
যেমন হাদীসে এসেছে,
জাবির রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,আমি নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, প্রত্যেক বান্ধা ঐ অবস্থার উপর পুনরুত্থিত হবে, যে অবস্থার উপর সে মারা যাবে ৷ [ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৪১৩, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১৪৫৮৩,মিশকাত, হাদীস নং ৫৩৪৫]
জাবির রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,আমি নবী সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন, প্রত্যেক বান্ধা ঐ অবস্থার উপর পুনরুত্থিত হবে, যে অবস্থার উপর সে মারা যাবে ৷ [ সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৪১৩, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ১৪৫৮৩,মিশকাত, হাদীস নং ৫৩৪৫]
এ হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, মানুষের আমলের ফলাফল নির্ভর করে তার শেষ আমলের উপর ৷ বাস্তবে এমনটি হবে যে, অনেক সময় দেখা যাবে কোন মানুষ পাপের কাজ করবে, কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে তার তওবা নসীব হবে এরপর সে নেক আমল করে জান্নাতবাসী হবে ৷ আবার এর বিপরিতে অনেকের অবস্থা এমন হবে যে, দেখা যাবে সে সাওয়াবের কাজ করছে কিন্তু মৃত্যুর পূর্বে সে শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে সে গুনাহর কাজ করতে শুরু করবে ৷ যার ফলে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে ৷
যেমন হাদীসে এসেছে,
সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তি এমন আমল করে যা দেখে মানুষ মনে করে যে, সে জান্নাতবাসী হবে, অথচ সে জাহান্নামী ৷ আবার কোন কোন মানুষের আমল দেখে মানুষ মনে করে যে, সে জাহান্নামী হবে, অথচ সে জান্নাতী ৷ কেননা সর্বশেষ আমলের উপরই ফলাফল নির্ভরশীল ৷
[ সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৪৯৩, শারহুস সুন্নাহ, হাদীস নং ৭৯]
সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তি এমন আমল করে যা দেখে মানুষ মনে করে যে, সে জান্নাতবাসী হবে, অথচ সে জাহান্নামী ৷ আবার কোন কোন মানুষের আমল দেখে মানুষ মনে করে যে, সে জাহান্নামী হবে, অথচ সে জান্নাতী ৷ কেননা সর্বশেষ আমলের উপরই ফলাফল নির্ভরশীল ৷
[ সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৪৯৩, শারহুস সুন্নাহ, হাদীস নং ৭৯]
সুতরাং প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উচিত জীবনের প্রতিটি দিন কে গুরুত্ব দেয়া এবং প্রতিটি দিন কে জীবনের শেষ দিন মনে করে আল্লাহর নাফরমানী থেকে দুরে থাকা এবং নিজেকে কল্যাণজনক কাজে নিয়োজিত রাখা ৷ এর জন্য আল্লাহর নিকট সবসময় দু‘আ করতে হবে, যাতে আল্লাহ তাআলা মৃত্যুর পূর্বে বেশি বেশি নেক আমল করার তাওফীক দান করেন ৷
হাদীসে এসেছে,
আমর ইবনে হাকীম আল খুযাঈ রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন আল্লাহ তাআলা কোন বান্দর কল্যাণ চান তখন মৃত্যুর পূর্বে তাকে আসাল করে নেন ৷ জিঞ্জেস করা হলো আসাল কি ? তিনি বললেন, মৃত্যুর পূর্বে তার সামনে নেক আমলের দ্বার খুলে দেওয়া হয় ৷ যার ফলে আল্লাহ তাআলা তার উপরে সন্তুষ্ট হয়ে যান ৷ [ সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং ৩৪২, মুসনাদে আহম্মদ, হাদীস নং ১৮৭১৯, সিলসিলা সহীহাহ, হাদীস নং ১১১৪]
আমর ইবনে হাকীম আল খুযাঈ রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন আল্লাহ তাআলা কোন বান্দর কল্যাণ চান তখন মৃত্যুর পূর্বে তাকে আসাল করে নেন ৷ জিঞ্জেস করা হলো আসাল কি ? তিনি বললেন, মৃত্যুর পূর্বে তার সামনে নেক আমলের দ্বার খুলে দেওয়া হয় ৷ যার ফলে আল্লাহ তাআলা তার উপরে সন্তুষ্ট হয়ে যান ৷ [ সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং ৩৪২, মুসনাদে আহম্মদ, হাদীস নং ১৮৭১৯, সিলসিলা সহীহাহ, হাদীস নং ১১১৪]
Post a Comment