Bismillahir Rahmanir Rahim :
Recent Post

তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা দুখুলুল মসজিদ সালাতটি এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সালাত অথচ অধিকাংশ মুসলিম-ই এই সালাত থেকে একেবারে গাফেল।

তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা দুখুলুল মসজিদ সালাতটি এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সালাত অথচ অধিকাংশ মুসলিম-ই এই সালাত থেকে একেবারে গাফেল।
_______________________
তাহিয়্যাহ অর্থ হচ্ছে = উপঢৌকন বা তোহফা।
দুখুলু বা দাখিল অর্থ হচ্ছে = প্রবেশ করা।
_______________________
অর্থাৎ মসজিদে প্রবেশ করলেই মসজিদের আদব স্বরূপ ২ রাকআত সালাত আদায় করতে হবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদ আল্লাহ্‌র ঘর। তাই আল্লাহ্‌র ঘরে প্রবেশ করেই সরাসরি বসা যাবে না। এটি বেআদবি। আল্লাহ্‌র ঘরে প্রবেশ করেই উপঢৌকন স্বরূপ আল্লাহ্‌র নিকট ২ রাকআত সালাত পেশ করতে হবে।
দলীল গুলো মিলিয়ে নিতে পারেন :
--------------------------------------
আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণীত, আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন বসার আগে দু’রাকআত সালাত আদায় করে নেয়। (তিরমিযি, ১ম খন্ড, রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর সালাতের সময়সূচি অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১২৩, হাদিস নং ৩১৬)
_______________________
আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণীত, আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন বসার আগে দু’রাকআত সালাত আদায় করে নেয়। দু’রাকআত সালাত আদায় করার পর বসবে নতুবা প্রয়োজন সেরে বের হয়ে যাবে। (আবু দাউদ, ১ম খন্ড, সালাত অধ্যায়, হাদিস নং ৪৬৭)
_______________________
এই হাদিসটি প্রমান করে- কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে বসার পূর্বেই আল্লাহ্‌র ঘরের সম্মানার্থে দু’রাকআত সালাত আদায় করবে।
_______________________
আব্দুল্লাহ ইবনু আবু সালামাহ (রঃ) সুত্রে বর্ণীত, আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণীত, আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন বসার আগে দু’রাকআত সালাত আদায় করে নেয়। (সহিহ মুসলিম, ২য় খন্ড, মুসাফিরের সালাত ও ক্বসর অধ্যায়, হাদিস নং ১৫৩৯)
_______________________
আবু বকর ইবনু আবু শাইবাহ (রঃ) সুত্রে বর্ণীত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাহাবী আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- একদিন আমি মসজিদে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম রাসুলুল্লাহ (সাঃ) লোকজনের মাঝে বসে আছেন। সুতরাং আমিও গিয়ে সেখানে বসে পড়লাম, এটা দেখে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন- সর্বপ্রথম দু’রাকআত সালাত আদায় করতে তোমার কি অসুবিধা ছিল? আমি বললাম- হে আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ)! আমি দেখলাম আপনি বসে আছেন (আলোচনা করছেন)। লোকজনও বসে আছে।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নির্দেশ দিলেন- তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দু’রাকআত সালাত আদায় না করে বসবে না।
(সহিহ মুসলিম, ২য় খন্ড, মুসাফিরের সালাত ও ক্বসর অধ্যায়, হাদিস নং ১৫৪০)
_______________________
এই হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, মসজিদে গিয়ে আগে ২ রাকআত সালাত আদায় করতে হবে পরে বসতে হবে। কিন্তু অনেককে দেখা যায় মসজিদে প্রবেশ করে আগে একটু বসে তারপর ২ রাকআত সালাত আদায় করে। এটি ঠিক নয়। এই হাদিসে নবী (সাঃ) নির্দেশ দিয়েছেন মসজিদে প্রবেশ করেই সর্বপ্রথম দু’রাকআত সালাত আদায় করতে।
_______________________
আবু কাতাদাহ সালামী (রাঃ) হতে বর্ণীত, আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন বসার পূর্বে দু’রাকআত সালাত আদায় করে নেয়। (সহিহ বুখারী, ১ম খন্ড, কিতাবুস স্বালাত, হাদিস নং ৪৪৪)
_______________________
এই হাদিসটি চিন্তা করে দেখুন, তাহিয়্যাতুল মসজিদ সালাতটি কত গুরুত্বপূর্ণ !!
_______________________
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, কোন এক জুম্মার দিনে নাবী (সাঃ) লোকদের সামনে খুৎবাহ দিচ্ছিলেন, এমন সময় এক ব্যক্তি এসে (খুৎবাহ শোনার জন্য বসলেন)। তিনি জিজ্ঞাস করলেন হে অমুক! তুমি কি স্বালাত আদায় করেছো? সে বলল- না! আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) বললেন- উঠ! দু’রাকআত সালাত আদায় করে নাও। (সহিহ বুখারী, ২য় খন্ড, কিতাবুল জু’মুয়াহ, হাদিস নং ৯৩০)
_______________________
আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) খুৎবাহ থামিয়ে ঐ ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান করলেন যে আগে দু’রাকআত সালাত আদায় করে নিতে। কিন্তু আমাদের দেশের লোকেরা খোঁড়া যুক্তি দেখায় যে, খুৎবাহ শোনা ওয়াজিব তাই খুৎবাহ চলাকালীন সময় সালাত আদায় করা যাবে না। অনেক মসজিদে দেখা যায় খুৎবাহ চলাকালীন সময়ে লালবাতি জ্বালিয়ে রাখে।
_______________________
মসজিদে লালবাতি জ্বালানোর অধিকার কারো নেই।
মানুষকে সালাত থেকে বাঁধা দেয়ার জন্য লালবাতি জ্বালায় যারা তাদের কবরে লালবাতি জ্বলবে ইনশাআল্লাহ!!!
_______________________
মসজিদের তাহিয়্যাহ/উপঢৌকন স্বরূপ তাহিয়্যাতুল মসজিদ ২ রাকআত সালাত সর্বাবস্থায় পড়তে হবে। অর্থাৎ এই সালাতের মূল কথা মসজিদে ঢুকেই সরাসরি বসা যাবে না, এটি মসজিদের আদবের খেলাফ। যদি মসজিদে ঢুকে দেখেন জামাআত দাড়িয়ে গেছে তবে জামাআত শরীক হলেই মসজিদের তাহিয়্যাহ হয়ে গেল। কোন প্রকার সালাত আদায় না করে বসা হল না। যে কোন সালাত আদায় করলেই তাহিয়্যাহ হয়ে যায়, কিন্তু মসজিদে প্রবেশ করেই বসা যাবে না।
_______________________
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- আমার উম্মতের সবাই জান্নাতে যাবে, কিন্তু সে নয় যে অস্বীকার করবে।
জিজ্ঞাসা করা হল- হে আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ) ! (জান্নাতে যেতে আবার) কে অস্বীকার করবে?
_______________________
তিনি বললেন- যে আমার অনুসরণ করবে সে জান্নাতে যাবে এবং যে আমার অবাধ্যতা করবে সে জান্নাতে যেতে অস্বীকার করবে। (সহিহ বুখারীঃ ৭২৮০, মুসলিমঃ ১৮৩৫)
_______________________
লোকেরা কালো রং দিয়ে চুল- দাড়ি রঙ্গাবেঃ
চুল বা দাড়ীতে কালো রং লাগানো একটি হারাম কাজ ও কবীরা গুনাহ। কিন্তু সাদা চুল-দাড়ি মেহদী বা অন্য রং দিয়ে পরিবর্তন করা নবী (ছাঃ) এর সুন্নাত। তিনি সাদা চুলকে কালো রং বাদ দিয়ে অন্য রং দিয়ে পরিবর্তন করতে আদেশ দিয়েছেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (ছাঃ) বলেনঃ
إِنَّ الْيَهُو دَ وَالنَّصَارَى لَا يَصْبُغُو نَ نَفَخَلِفُو هُمْ
“ ইয়াহুদী ও নাসারারা চুল ও দাড়িতে খেযাব লাগায় না। সুতরাং তোমরা খেযাব লাগিয়ে তাদের বিপরীত কর”। ( বুখারী, অধ্যায়ঃ আহাদীছুল আম্বীয়া।)
কিন্তু কিয়ামতের পূর্বে লোকেরা এ আদেশ অমান্য করে কালো রং দিয়ে খেজাব (কলপ) লাগাবে। নবী (ছাঃ) বলেনঃ
يَكُونُ قَوْمٌ يَخْضِبُو نَفِي آخِرِ الزَّمَانِ بِالسَّوَادِ كَحَوَاصِلِ الْحَمَامِ لَا يَرِيحُونَ رَاءِحَةَالْجَنَّةِ
“ আখেরী যামানায় একদল লোকের আগমণ হবে যারা সাদা চুল-দাড়ি কালো রং দিয়ে পরিবর্তন করবে। তারা জন্নাতের গন্ধও পাবেনা”। (আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তারাজ্জুল, আলবানী (রঃ) হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন)
হাদীছের ভাষ্য বাস্তবে পরিণত হয়েছে। পুরুষদের মাঝে দাড়ি ও মাথার চুল কালো রং দিয়ে পরিবর্তন করার প্রবণতা ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেনঃ
يَكُونُقَومٌ يَخضِبُونَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ بِالسَّوَادِ؛ كَحَوَاصِلِ الحَاماَمِلاَ يَرِيحُونَ رَاءِحَةَالخَنَّةِ
“অর্থাৎ শেষ যুগে এমন এক সম্প্রদায়ের আবির্ভাব ঘটবে যারা (চুল বা দাড়িতে) কালো রং লাগাবে। যা দেখেতে কবুতরের পেটের ন্যায়। তারা জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না”। ( আবু দাউদ ৪২১২; নাসায়ী ৫০৭৭)
কারোর মাথার চুল বা দাড়র সাদা হয়ে গেলে তাতে কালো ছাড়া যে কোন কালার লাগানো সুন্নাত।
জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেনঃ
أُتِيَ بِأَبِي قُحَا فَةَ يَومَفَتح مَكَّة،وَرَأسُهُ وَلِحيَتُهُ كَالثَّغَا مَةِ بَيَا ضًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلى اللهُ عَلَيهِ وَسَللَّم غَيِّرُوا هَذَا بِشَيءٍ، وَاجتَنِبُوا السَّوَادَ.
“ মক্কা বিজয়ের দিন (আবূ বকর (রাঃ) এর পিতা ) আবূ ক্বহাফাহকে (রাসূল (ছাঃ) এর সামনে ) উপস্থিত করা হলো । তখন তার মাথায় চুল ও দাঁড়ি সাদা ফল ও ফুল বিশিষ্ট গাছের ন্যায় দেখাচ্ছিলো । তা দেখে রাসূল (ছাঃ) সাহাবাদেরকে বললেনঃ তোমরা কোন কিছু দিয়ে এর কালার পরিবর্তন করে দাও। তবে কালো কালার কিন্তু লাগাবে না”। (আবু দাউদ ৪২০৪; নাসায়ী ৫০৭৮)
তবে রাসূল (ছাঃ) সাধারণত মেহেদি, জাফরান ও অর্স (লাল গোলাপের রস) দিয়ে কালার করতেন।
আবূ রিমসাহ (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেনঃ আমি ও আমার পিতা রাসূল (ছাঃ) এর কাছে আসলে তিনি আমার পিতাকে বলেনঃ এ ছেলেটি কে? তখন আমার পিতা বললেনঃ সে আমারই ছেলে। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেনঃ তুমি তার সাথে অপরাধমূলক আচরণ করো না । হযরত আবূ নিমসাহ বলেনঃ তখন তাঁর দাড়ি মেহেদি লাগানো ছিলো।
আব্দুল্লাহ বিন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ
كَانَ النَّبِيُّ رَسُولُ اللَّهِ صَلى اللهُ عَلَيهِ وَسَللَّم يَلبَسُ النِّعَالَ السِّبتِيَّة،وَيُصَفِّرُ لِحيَتَهُ بِالوَرسِ وَالزَّعفَرَانِ
“নবী (ছাঃ) চামড়ার জুতো পরিধান করতেন এবং অর্স তথা লাল গোলাপের রস ও জাফরান দিয়ে দাঁড়িটুকু হলুদ করে নিতেন”। (আবূ দাউদ ৪২১০)
রাসূল (ছাঃ ) আরো বলেনঃ
إِنَّ أَحسَنَ مَا غُيِّرَ بِهِ هَذَا الشَّيبُ:الحِنَّاءُوَالكَتَمُ
“ নিশ্চয় সর্বশ্রেষ্ঠ বস্তু যা দিয়ে বার্ধক্যের সাধা বর্ণকে পরিবর্তন করা যায় তা হচ্ছে মেহেদি ও কাতাম; যার ফল মরিচের ন্যায়”। (আবূ দাউদ ৪২০৫; নাসায়ী ৫০৮০)
"মিথ্যাবাদী মা"
এতটা দিন পেরিয়ে আজো মায়ের
জন্য
কাঁদি
... কারণ আমার মা যে ছিল ভীষণ
মিথ্যাবাদী।
বাবা যেদিন মারা গেল আমরা
হলাম
একা
সেদিন থেকেই বাঁক নিয়েছে
মায়ের
কপাল রেখা।

মা বলতো বাবা নাকি তারার
ভিড়ে
আছে
লেখাপড়া করি যদি নেমে আসবে
কাছে।
তারায় তারায় বাবা খুঁজি তারার
ছড়াছড়ি
আমার মায়ের মিথ্যে বলার প্রথম
হাতে খড়ি।
পাড়া পড়শী বলল এসে এই বয়সেই
রাঢ়ি !
একা একা এতটা পথ কেমনে দিবে
পাড়ি।
ভাল একটা ছেলে দেখে বিয়ে কর
আবার
মা বলল, ওসব শুনে ঘেন্না লাগে
আমার।
একা কোথায় খোকন আছে, বিয়ের
কী দরকার?
ওটা ছিল আমার মায়ের চরম
মিথ্যাচার।
রাত্রি জেগে সেলাই মেশিন,
চোখের
কোণে কালি
নতুন জামায় ঘর ভরে যায় মায়ের
জামায়
তালি।
ঢুলু ঢুলু ঘুমের চোখে সুই ফুটে মা’র
হাতে
আমি বলি, শোও তো এবার কী কাজ
অত
রাতে?
মা বলত ঘুম আসে না শুয়ে কী লাভ বল?
ওটা ছিল আমার মায়ের মিথ্যা
কথার
ছল।
স্কুল থেকে নিতে আসা গাড়ী
ঘোড়ার চাপে
আমার জন্য দাড়ানো মা কড়া
রোদের
তাপে।
ঘামে মায়ের দম ফেটে যায়, দুচোখ
ভরা ঝিম
ভ্যানিটি ব্যাগ খুলে আমায় দিত
আইসক্রিম।
মায়ের দিকে বাড়িয়ে ধরে
বলতাম
একটু
নাও
মলিন হেসে মা বলত, খাও তো বাবা
খাও।
আমার আবার গলা ব্যাথা,
ঠান্ডা খাওয়া মানা
ওটা ছিল আমার মায়ের নিঠুর
মিথ্যাপনা।
বড় হয়ে চাকুরী নিয়ে বড় শহর আসি
টুকটুকে বউ ঘরে আমার বউকে
ভালবাসি।
পশ এলাকায় বাসা নিয়ে
ডেকোরেটর
ধরে
সাজিয়ে নিলাম মনের মত
অত্যাধুনিক
করে।
মা তখনো মফস্বলে কুশিয়ারার
ঢালে
লোডশেডিং এর
অন্ধকারে সন্ধ্যা বাতি জ্বালে।
নিয়ন বাতির ঢাকা শহর আলোয় ঝলমল
মাকে বলি গঞ্জ ছেড়ে এবার ঢাকা
চল।
মা বলল এই তো ভাল খোলা মেলা
হাওয়া
কেন আবার তোদের ওই ভিড়ের
মধ্যে যাওয়া?
বদ্ধ ঘরে থাকলে আমার হাঁপানি
ভাব
হয়
ওটা ছিল আমার মায়ের মিথ্যা
অভিনয়।
তারপর আমি আরো বড়, স্টেটস এ
অভিবাসী
বিশ্ব ব্যাংকের বিশেষজ্ঞ সুনাম
রাশি রাশি।
দায়িত্বশীল পদে আমার কাজের
অন্ত
নাই
মায়ের খবর নিব এমন সময় কমই পাই।
মা বিছানায় একলা পড়া
খবর এল শেষে
এমন অসুখ হয়েছে যার
চিকিৎসা নেই দেশে।
উড়ে গেলাম মায়ের কাছে অনেক
দূরের পথ
পায়ে পড়ে বলি মাকে এবার
ফিরাও
মত
একা একা গঞ্জে পড়ে কী সুখ
তোমার
বল?
আমার সংগে এবার তুমি এমেরিকা
চল।
এসব অসুখ এমেরিকায় কোন ব্যাপার
নয়
সাত দিনের চিকিৎসাতেই সমুল
নিরাময়।
কষ্ট হাসি মুখে এনে বলল আমার মা
প্লেনে আমার চড়া বারণ তুই কি
জানিস
না ?
আমার কিছু হয় নি তেমন ভাবছিস
অযথা
ওটাই ছিল আমার মায়ের শেষ
মিথ্যা কথা।
ক’দিন পরেই মারা গেল নিঠুর
মিথ্যাবদী
মিথ্যাবাদী মায়ের জন্য
আজো আমি কাঁদি।
BY__________
আপনি হয়তো জানেন না আপনার
জন্মের পর
থেকে এ পর্যন্ত তার সব
কষ্টগুলোকে চাপা দিয়ে রেখেছে
শুধু
আপনার মুখে একটু হাসি ফুটানোর
জন্য ।
আপনাদের কাছে শুধু একটাই অনুররোধ
মা কে কখনো কষ্ট দিবেন না, কারন
"আপনার দেয়া কষ্টগুলি মায়ের
মনকে নীরবে কাঁদায়"
যা আপনাকে বুঝতে দিবে না,
আপনিও
কোনদিনই বুঝতে পারবেন না ।

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. Peace Way - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger